
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর
সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে
শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে
সৌদি আরব। চাহিদা অনুযায়ী
প্রতি মাসে অন্তত দশ হাজার
শ্রমিক নেবে সৌদি আরব।
কিন্তু, পূর্ব অভিজ্ঞতা ভালো না
থাকায় সৌদিতে নারী গৃহকর্মী
পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন অভিবাসন
সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে, নারী
গৃহকর্মীদের যাবতীয় নিরাপত্তা
নিশ্চিত করেই পাঠানো হবে
জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
অভিবাসন বিষয়ক বেসরকারি
সংস্থাগুলো বলছে, কর্মস্থলে
শারীরিক নির্যাতনের কারণে
ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও
শ্রীলঙ্কা তাদের নারীদের
সৌদি পাঠানো বন্ধ করার পর
দেশটি গৃহকর্মী নিতে
বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল
হয়ে পড়ছে। আর এক্ষেত্রে নারী
গৃহকর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে
সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার
পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
রামরুর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.
তাসনিম সিদ্দিকী বলেন,
'মধ্যপ্রাচ্যের যেই অন্য রাষ্ট্রগুলো
আছে তার মধ্যে সৌদি আরব
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নারী
শ্রমিকের জন্য, এখন পর্যন্ত যে সকল
প্রোটেকশন মেকানিজম সরকার
করেছে সেগুলো দিয়ে সৌদি
আরবে নারী শ্রমিক প্রেরণ করা
যাবে না, আর নারী শ্রমিকরা
নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন কিনা
সেটি বোঝার জন্য মাসে অন্তত
একবার করে একটি টেলিফোনের
এক্সেস আমাদের কর্তৃপক্ষের দিক
থেকে রাখা উচিৎ। '
আর এই বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত
মোহাম্মদ জাফর বলেন, 'সেখানে
আমাদের দূতাবাসগুলো এবং
প্রাইভেট সেক্টরে রিক্রুটেট
এজেন্সিগুলোর মধ্যে একটি
সুসমন্বিত ব্যবস্থা করতে হবে। '
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়
বলছে, নারী শ্রমিকদের আরবি
ভাষা শিক্ষা, গৃহস্থালি
প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় নিরাপত্তা
নিশ্চিত করেই সৌদি আরবে
পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য
ইসরাফিল আলম এই বিষয়ে বলেন,
'মোবাইল ফোন অবশ্যই আমাদের
মেয়েদের হাতে থাকবে, এটি
চুক্তির একটি অংশ, আর তারা
ইচ্ছামতো যার সাথে প্রয়োজন
তার সাথে যোগাযোগ করতে
পারবে, এক্ষেত্রে কোনো
মালিক যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করে তবে সেখানে আমরা
শ্রমিক পাঠাবো না। '
দীর্ঘদিন সৌদিতে জনশক্তি
রপ্তানি বন্ধ থাকার পর গত ১০ই
ফেব্রুয়ারি জনশক্তি রপ্তানি
বিষয়ে বাংলাদেশ ও সৌদি
সরকারের মাঝে দ্বিপাক্ষিক
চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
UNDER MAINTENANCE